হাসিনা ও পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দুদকের

সজীব ওয়াজেদ জয় টিউলিপ সিদ্দিক শেখ রেহানা শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বড় উন্নয়ন প্রকল্প থেকে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুদক পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডলের সই করা এক স্মারক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেনও শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন। তদন্তের সম্মুখীন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা ও তাঁর মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ‘বিশেষ অগ্রাধিকার’ দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাংলাদেশ

এরপর পৃষ্ঠা ৭ কলাম ৮

অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বেপজা)সহ আট প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কমিশন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

দুদক সূত্রটি বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) সরিয়েছেন।

দুদকের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, প্রচারমাধ্যমের খবরের সূত্রে দুর্নীতির যেসব অভিযোগ দুদকের নজরে এসেছে, সেসবের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছেন।

আওয়ামী লীগের টানা দেড় দশকের শাসন অবসানের পর গত ৩ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা ও তাঁর আত্মীয়দের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। রিটে রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের ‘নিষ্ক্রিয়তার’ বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটের বিবাদী করা হয়েছিল। রিটের শুনানি নিয়ে অভিযোগগুলোর অনুসন্ধানে দুদকের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ১৫ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এই রুল জারির দুই দিন পরই দুদকের পক্ষ থেকে অভিযোগগুলো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত জানানো হলো।

 Ž  জয়, রেহানা, টিউলিপের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান।

 Ž  ৮০ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ।